রাজশাহীর দুর্গাপুরে বন্ধ ঘরে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ছেলে সুলতান আলী (৪৫) ও তার স্ত্রী ইছনেহার বেগম (৩৮)। পেশায় ফেরিওয়ালা ছিলেন সুলতান। আর তার স্ত্রী ছিলেন গৃহিণী। ১৭ বছরের ছেলে এবং ১০ বছরের মেয়ের জনক-জননী ছিলেন তারা।

ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোসাব্বির মন্ডল জানান, মাঝে মধ্যেই পরিবার নিয়ে গ্রামের বাইরে চলে যেতেন সুলতান। কিন্তু বছরখানেক আগে তিনি গ্রামে এসে স্থায়ী হন। বুধবার দুপুরের দিকে ছেলে-মেয়েরা বাড়ির বাইরে ছিল। ওই সময় সুলতান আলী ও তার স্ত্রী ইছনেহার বেগম বাড়িতে ছিলেন।

বেলা ৩টার দিকে স্বজনরা শোবার ঘরে সুলতানের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিছানায় তার স্ত্রী ইছনেহারের মরদেহ পান। গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনিই ঘটনাটি চেয়ারম্যানকে জানান।

ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার আলী জানান, খবর পাওয়ার পর তিনি বিষয়টি থানার ওসিকে জানান। পরে ওসি ঘটনাস্থলে যান। অভাবের তাড়নায় এই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয়দের বরাতে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।

এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, সুলতান আলীর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। তার স্ত্রীর মরদেহ ছিল বিছানায়। ধারণা করা হচ্ছে, একজন বিষপানে এবং অন্যজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ওসি আরও বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিন দল আলামত নেয়ার পর মরদেহ উদ্ধার করা হবে। এই ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এনিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।